আজকে আমরা জানব Kali Linux কি, এর উৎপত্তি ও কাজ সম্পর্কে। তো চলুন শুরু করা যাক।
Kali Linux কি?
Kali Linux একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন যা ডেবিয়ানে গঠিত। এটিতে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় টুল বিল্টইন দেওয়া থাকে। এই টুল গুলো দিয়ে পেমেন্টেশন টেস্টিং, সিকিউরিটি রিসার্চ, কম্পিউটার ফরেন্সিকস এবং রিভারস ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি পরিচালনা করা সম্ভব। Offensive Security নামের একটি কোম্পানী কলি লিনাক্স ডেভেলপ করে। প্রকৃতপক্ষে, কালি লিনাক্স ব্যাকট্রেক লিনাক্সের একটি উন্নত সংস্করণ। যেখানে পূর্বের চাইতে আরও বেশি টুল যুক্ত করা হয়েছে। যার কারনে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট ও হ্যাকারদের মধ্যে এই অপারেটিং সিস্টেম খুবই জনপ্রিয়।
কালি লিনাক্সের উৎপত্তি কিভাবে?
সর্বপ্রথম ব্যাকট্রেক নামে একটি লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্টদের জন্য ডেভেলপ করা হয়। পরবর্তিতে ব্যাকট্রেক ২, ব্যাকট্রেক ৩, ব্যাকট্রেক ৪ এবং ব্যাকট্রেক ৫ নামে এর আরও কয়েক টি ভার্সন অবমুক্ত হয়। যার সর্বশেষ ভার্সন হল কালি লিনাক্স। Kali Linux এর সর্বশেষ সংস্করণ হল Kali 2017.2, যেটি ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তে অবমুক্ত করা হয়।
1991 সালে প্রথম লিনাস টরভাল্ড নামের এক ব্যক্তি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম কার্নেলটি তৈরি করা হয়েছিল। লিনাক্স শুরু থেকেই একটি মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম। বর্তমানে লিনাক্স মেনফ্রেম কম্পিউটার এবং বড় বড় সার্ভারে ব্যবহৃত একটি বহুল পরিচিত অপারেটিং সিস্টেম।
কালি লিন্যাক্স একটি ডেবিয়ান লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশন যা মূলত ডিজিটাল ফরেনসিক এবং পেনিট্রেশন টেস্টিংয়ের জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল। Offensive Security Ltd এটা তৈরি করেছে। ৩০০ টিরও বেশি পেনিট্রেশন টেস্টিং এর সফটওয়্যার এটিতে প্রি ইন্সটল থাকে। কালি লিনাক্সের আগে ব্যাকট্র্যাক নামে একটি ডিস্ট্রো ছিল, যা মাতি আহরণী এবং ডেভন কয়ার্নসের তৈরি ছিল। ডেবিনিয়ার বিশেষজ্ঞ রফেল হার্টজোগ তাদের সাথে যোগদান করার পর তারা ব্যাক ট্র্যাক প্রোজেক্ট বন্ধ করে এবং Offensive Security Ltd নামে একটি কোম্পানী গঠনের মাধ্যমে কালি লিনাক্স প্রোজেক্টের সুচনা করে। বর্তমানে মোবাইল ফোন, ট্যাব, স্মার্ট টেলিভিশন, রোবট, রিমোট কন্ট্রোলার এবং অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইসে লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করা হয়।
কালি লিনাক্সের কিছু বৈশিষ্ট্য:
1. Kali Linux ওয়েবসাইটে ৬০০ টিরও বেশি টুল রয়েছে, কিন্তু অধিকাংশই কালি লিনাক্স ছাড়া কাজ করে না।
2. কালি লিনাক্সের মত তার টুল গুলোকে ও বিনামূল্যে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
3. কালি লিনাক্স সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তনযোগ্য। এর কার্নেল খুব সহজে পরিবর্তন করা যায়।
4. এটি ARM ভিত্তিক হার্ডওয়্যারেও (যেমনঃ রাস্পবেরি পাই) পরিচালনা করা যায়।
কালি লিনাক্সের কাজ:
হাজার হাজার সাইট মুছে যেতে পারে, সার্ভার ডাউন হয়ে যেতে পারে, অনলাইন ভিত্তিক কোম্পানির আয় বন্ধ করতে পারে শুধু মাত্র কালি লিন্যাক্সের একটি আদেশে। চলুন দেখা যাক আমরা কালি লিনাক্স দিয়ে কি কি করতে পারি:
1. ওয়েবসাইট হ্যাক করা।
2. সার্ভার থেকে তথ্য হাইজ্যাক করা।
3. ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত যেকোনো জিনিস অ্যাক্সেস করা।
4. পেনিট্রেশন টেস্টিং করা।
5. ওয়েবসাইটে ত্রুটি খোঁজা।
এটির ব্যবহারবিধি অন্যান্য লিনাক্সের মত নয়। এটিতে রুট নামে শুধুমাত্র একটি ব্যবহারকারী রাখা হয়েছে। অপারেটিং সিস্টেমটি সকলের বোধগম্য নয়। টার্মিনালের মাধ্যমে এটিতে কমান্ড দিতে হয়। এটি পেনিট্রেশন টেস্টার, সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিস্ট এবং হ্যাকারদের প্রথম পছন্দ। সাধারন ব্যবহারকারী, গেমার এবং ওয়েব ডেভেলপারদের জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম নয়।
Post a Comment